Valobasar Golpo by Payel Banerjee Chowdhury

Valobasar Golpo by Payel Banerjee Chowdhury

খারাপ মেয়ে 

একটা কথা প্রায়ই শুনা যায় মেয়ে জাতিই বেঈমান।হুম আমিও এটা বলব যে আজকাল কিছু মেয়েদের চলাফেরা,আচরণ দেখে খুব আফসোস লাগে।একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের নিয়ে কোন নেগেটিভ কথা মাথায় আসত না।পৃথিবীর সব খারাপ কাজ শুধু ছেলেরাই করে আর মেয়েরা কোন খারাপ কাজ করতেই পারে না এরকম একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিল।
কিন্তু যত সময় অতিক্রম হয় তার সাথে সাথে মানুষ অনেক কিছু জানে ও বুঝতে শিখে।আগের অনেক ধারণাই তখন বদলাতে বাধ্য।মেয়েদের নিয়ে আমার ধারণাও একসময় বদলাতে বাধ্য হই।বুঝতে শিখি ছেলেরা যেমন ভালো আছে তেমনি মেয়েদের মাঝে ও খারাপ মেয়ে আছে।
এখনকাল কিছু মেয়েরা তো যে কাজগুলো করার কথা স্বপ্নে ও ভাবতে পারব না তাই জনসম্মুখে করে বেড়ায়।কয়েকবছর আগে মেবি একবার দেখছিলাম একটা মেয়ে বাজারে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে।আমার অবাক চাহনি দেখে তখন ভাই শুধু হেসেছিল।
১৯ বছরের মেয়েটা যখম তার বাবা মা পরিবারের কারো কথা চিন্তা না করেই ৩ বছরের প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়।তখন সেই মেয়েকে কেমন করে ভালো ভাবা যায়।
আর পদার নামে কিছু মেয়ে যেসব করে বেড়ায় তাদের জন্য ভালো মেয়েগুলোকেও মানুষ খারাপ ভাবে।অনেকবার রাস্তাঘাটে শুনা যায় বলতে বোরকার নিচে এক একটা মিচকা শয়তান।তখন খুব খারাপ লাগে।মানুষ কারো বিষয়ে না জেনেই কমেন্ট করে বসে।
আর এই ফেবু ইউজ করা শুরুর পর এমন কিছু মেয়েদের ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা দিছি যাদের বিহেইভ দেখে হাসব না কাঁদব বুঝি না।সেদিন দেখি এক মেয়ে মদের পিক দিয়ে লিখছে "কেউ জয়েন্ট করতে চাইলে করতে পার" ।দেখলাম সেখানে কমেন্টের পর কমেন্ট পড়তেছে।আরেকটা মেয়ে মুখে ব্রণের পিক তুইলা দিছে সাথে লিখছে "আমি তো শেষ"।এই মেয়ের প্রতি দিনের স্ট্যাটাসে বিরক্ত হয়ে একসময় আনফ্রেন্ড করছি।
কিছু মেয়ে হয়ত আছে যারা এক সাথে অনেক গুলো রিলেশন করে থাকে।আবার এমন অনেক মেয়ে আছে যারা কখনও রিলেশনে জড়াতে চায় না।
আসলে ভালো খারাপ ছেলে মেয়ে উভয়ের মাঝেই আছে।কিন্তু দেখা যায় একটা ছেলে হয়ত মিসবিহেইভ করছে এর জন্য মেয়েরা সব ছেলেরা একরকম এই সেই ইত্যাদি কথা বলে।আবার ছেলেরা ও একই কাজ করে একটা মেয়ে হয়ত প্রেমে ধোঁকা দিছে বা কোন কারণে রিলেশন টিকিয়ে রাখতে পারে নি।তার জন্য ঐই মেয়েকে গালাগালি করবেই তার সাথে বলে বেড়াবে মেয়ে জাতিই বেইমান।
কিছু সংখ্যক খারাপ ছেলেমেয়ের জন্য সবাইকে খারাপ ভাবা কতটা যুক্তিযুক্ত আমি বুঝি না।
মেয়ে জাতিই বেইমান বলার আগে ছেলেদের মনে রাখা উচিত একটা মেয়েই আপনার মা,এই মেয়েই আপনার আদরের বোন,একটা মেয়ে আপনার স্ত্রী হবে।


জটিলবাস্তব ভালবাসার গল্প 

সবাই পড়ুন । বাস্তব ভালবাসার গল্প :
"....বাসে যাচ্ছি,পাশের সিটে দু'জন প্রায় আমারই বয়সী ছেলে বসা। একজন কাদছে আর
মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে কিছু
একটা বলছে তার পাশের ছেলেটিকে।ব্যপার
বোঝার জন্য কান খাড়া করে গভীর মনযোগ
দিয়ে কথা বোঝার চেষ্টা চালালাম।রহস্য
উদঘাটন হল কিছুক্ষনের মধ্যেই। তার কোন এক
বন্ধু আত্মহত্যা করেছে কোন এক মেয়ের কারনে।
যাই হোক, সেদিনের পর থেকে আমার মাথায়
বেশ কিছু ব্যপার ছুটোছুটি করছে।মৃত ব্যক্তির
সাথে কথা বলার সুযোগ থাকলে তাদের
ব্যপারগুলো জিজ্ঞেস করে দেখা যেত,
আচ্ছা ভাই,আপনার কি মনে পড়ে? আপনার
বাবা প্রতিদিন সকাল ৮ টায়
বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ১০ টায় বাসে ঝুলে ঘামে ভেজা চপচপা একটা শার্ট
গায়ে দিয়ে ফিরতেন?
কোন ঈদে কি দেখেছেন আপনার বাবা নিজেই
জামা-কাপড় কিনে বসে আছেন,আপনাদের জন্য
কিছু নেই?
আপনার মাকে কি কখনো দেখেছিলেন আপনার
পরিক্ষার আগের রাতে অযথা গভীর উদ্বেগ
নিয়ে আপনার পড়ার টেবিলের
সামনে বসে থাকতে,আর কিছুক্ষন পর পর জিজ্ঞেস করতে, কলম-এডমিট কার্ড সবকিছু
নিয়েছিস তো ঠিকমত ?
যখন আপনি বিছানায় মুত্র বিসর্জন করতেন
তখন আপনার ভেজা কাথাটা এই পৃথিবীর অন্য
কোন মানুষ কি কোনদিন পেচিয়ে শুয়ে ছিল?
শুনুন ভাই,এই যে আপনার এক ফুট উচ্চতার
শরীরটা আজ ৬ ফুটের কাছাকাছি চলে এসেছে।
শরীরে বইছে ৫ লিটার রক্ত, সেটা কিন্তু
আপনার চেস্টায় তৈরি হয়নি।আপনার বাবা-
মায়ের দিন রাত ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম আর
আপনার সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়ই
সেটা তৈরি হয়েছে।
সুতরাং, আপনি যে আত্মহত্যা করলেন,আপনার
বাবা-মার অনুমতি নেয়া হয়েছে ?এই
শরীরটাতে আপনার চাইতে বেশি অধিকার তাদের।শরীরের প্রতিটি রক্তকনা আপনার
বাবার কেনা টাকার ভাত
খেয়ে তৈরি হয়েছে।
সুতরাং, আপনার শরীরটাতে একটা আচড় দেবার
আগে আপনার বাবা-মায়ের কাছে একটিবার
জিজ্ঞেস করে দেখুন বাবা আমি আমার হাতটা একটু কাটব তুমি কি রাজি?
অনুমতি নিয়ে এরপর
কাজে ঝাপিয়ে পড়লে ভালো হয়।
যে নারীর জন্য আপনি আজ মারা গেলেন
সে নারীকে শুধু মাত্র একটি রাত আপনার
পেশাব করা কাথা দিয়ে দেখতেন,
তিনি সেটা জড়িয়ে ধরে ঘুমুতে পারেন কিনা।
তাহলেই হয়তো বুঝতে পারতেন
আপনাকে যে নারী জন্ম দিয়েছেন তার এবং আপনি যে নারীকে ভালবাসেন
বলে দাবি করছেন তার ভালবাসার মধ্যকার
পার্থক্য।
যে মানুষ নিজের বাবা-
মাকে ভালবাসতে পারেনি,তার বাবা মায়ের
ভালবাসা বুঝতে পারেনি সে কোনদিন কোন,অবস্থাতেই অন্য
কাউকে ভালবাসতে পারেনা।এটা কোনভাবেই
ভালবাসা নয়। বছর ২ পরিচিত একটি মেয়ের
জন্য আপনার ২৫ বছরের পরিচিত মা-
বাবাকে কষ্ট দিতে পারেন আবার বলেন
আমি মহান প্রেমিক ?
ভালবেসে দুনিয়া উলতায়া ফেলাইসি?
শুনে রাখুন আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ এই
পৃথিবীতেও ব্যর্থ পরের জীবনেও ব্যর্থ।
ব্যর্থ!ব্যর্থ !ব্যর্থ!
আপনি একজন Coward ছাড়া আর কিছুই না

ভালবাসা মানে কষ্ট কে কে জানে 

হয়তো সে জানে তোমার তাকে ভালো লাগে,
কিন্তু কিচ্ছু করার থাকে না "  কারণ তোমাকে তার ভালো লাগে না 
ইচ্ছে করলেও কাউকে জোর করে ভালো লাগানো যায়না।
ভালো লাগা টা মনের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার,
শুধু শুধু সময় নষ্ট করে কারো নিজস্ব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করো না।
এতে তোমার ই কষ্ট 
একা একা ভালো লাগার কষ্ট
একা একা ভালোবাসার কষ্ট
একা একা কাউকে ভেবে রাত জাগার কষ্ট
"তুমি হয়তো কাউকে ভেবে বিষণ্ণতায় ভুগছো। 
কারো অপেক্ষায় দরজায় কান পেতে আছো। 
হয়তো  মধ্য রাতে কাউকে ভেবে "তুমি ভালো নেই " 
কিন্তু অপাশের মানুষ টা ঠিক ই ভালো আছে
দিব্যি সে সুখে আছে.... তার  রাতের স্বপ্ন টা অনেক রঙিন...
হয়তো অন্য কাউকে নিয়ে বাঁধছে তার স্বপ্নের নীড়। 
সেখানে তুমি নাই... তুমি একদম নাই...
তার চিন্তা, চেতনা, ভাবনা কোন কিছুতেই তুমি নাই।
তুমি অযথা রাত জেগে মিথ্যে স্বপ্নের প্রহর গুনছো,
মিথ্যে অপেক্ষায় বসে রাত টা দীর্ঘ করছে।
মুল্যহীন একটা অপেক্ষা।
অপাশের মানুষ টা জানবেও না, 
বুঝবেওনা.. তোমার রাত জাগার কস্ট.. 
অপেক্ষায় থাকার যন্ত্রণা  হুম
কাউকে ভালো লাগা খারাপ না ... 
অবুঝের মত ভালোলাগা কে,
পস্রয় দেওয়া খারাপ ... সত্যি খুব খারাপ ।

 

কষ্টের ভালবাসা 


এক ছেলে একটি মেয়ে সাথে প্রায় ৭বছর
প্রেম করছে। হঠাৎ কোন এক
অজানা কারনে তাদের সম্পক ভেঙে যায়।
সম্পকটা
ভাঙ্গা তিন মাস
পযন্ত একে অন্যে মুখও দেখেনি।হঠাৎ একদিন
মেয়ে টি ফোন করে
ছেলে টিকে তার সাথে দেখা করতে বললো।
ছেলেটি তার সাথে
দেখা করলো,দেখা হবার পর মেয়ে টি তার বিয়ের
কার্ড ছেলেটিকে
দিয়ে বললো আগামি রবি বার আমার বিয়ে,
তোমার
আমন্ত্রণ রইলো।
আর আমার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে সে
তোমার
চেয়ে অনেক গুন
ভালো।সে আমাকে সুখে রাখবে, আর তার
বেতন কত তুমি জান? তার
বেতন একলাখ টাকা,যা তুমি দুই বছরেও আয়
করতে
পারবেনা। মেয়েটির
কথা শুনে ছেলেটি খুব কষ্ট পেয়ে চলে গেল।
পরে রবিবারে সে
ছেলেটি মেয়েটির বিয়েতে আসে। আর
উপহার
হিসেবে তার জন্য ৫০
লাখ টাকার একটি গাড়ি কিনে আনে, আর সে
গাড়ি
দেখে মেয়েটি
অবাক হয়ে বললো এইটা কার? ছেলেটি
বললো
এটা আমি তোমাকে
উপহার দিলাম। মেয়েটি বললো তুমি এত
টাকার মালিক
হলে কেমন
করে? তখন মেয়েটি স্বামি বললো আরে স্যার
আপনি? মেয়েটি অবাক
হয়ে তার স্বামিকে প্রশ্ন করল, তুমি কি
তাকে চেন?
তখন স্বামি
বললো তিনি তো আমাদের কম্পানির মালিক।
তার
প্রায় শত কোটি
টাকার সম্পতি রয়েছে। আর আমি তার
মেনেজার।
একথা শুনে মেয়েটি
সাথে সাথে অঙ্গান হয়ে যায়।
আর এই থেকে বোঝা যায় মেয়েরা
ছেলেদের নয়
বরং তারা ভালবাসে
টাকাকে। আরো বোঝা যায় তারা খুব লোভি,।
 

আজ কিন্তু আমাদের বাসর রাত 

বাসর ঘরে ঢুকে পাশে বসতেই
বৌ আমাকে বলল....
----ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখুন তো কয়টা বাজে??
বাসর রাতে বৌয়ের এমন সাহসী প্রশ্নে কিছুটা বিচলিত
হলাম।তখন ঘড়িতে তাকিঁয়ে দেখি রাত ১২.৩০মিঃ।আমি
বৌয়ের পাশে বসে আস্তে করে বললাম.....
----শোনো আমার এখন বিয়ে করার কোন ইচ্ছেই ছিলো
না।আমার বাবা-মায়ের পছন্দেই তোমাকে বিয়ে করেছি।
তবে আমার কারো সাথে কোন সম্পর্ক ও নেই।কিন্তু আমি
বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না।তাই আমি
এখন চাইলেও এত সহজে তোমাকে বউ হিসেবে মানতে বা
বৌয়ের অধিকার দিতে পারবোনা।
কথা গুলো বলে শেষ করা মাত্র ই
নতুন বউ আমার পাঞ্জাবির কলারটা চেপে ধরে বলল.....
----আমাকে কি খেলার পুতুল মনে হয় নাকি??পছন্দ হয়নি,
বিয়ে করতে চাননি এইটা আগে বলতে পারলেন না??
নিজের মায়ের মন রক্ষা করতে আমার সব আশা-স্বপ্ন কে
কেন বলিদান দিতে হবে?
বিয়ে করার ইচ্ছে নেই,এইটা আমাকে আগে বললেই
পারতেন।তবেই আমি আমার পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে
দিতাম।মায়ের প্রতি ভন্ড ভক্তি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে
আমার জীবনটা কেন এইভাবে নষ্ট করে দিলেন হুম?
আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করিনি।এখন আমি
যেভাবে বলব সেভাবেই সব হবে। ঠিক আছে????
বলেই কলার টা ছেড়ে দিলো।পরে আবার বলল....
----আচ্ছা যা হবার তা তো হয়েই গেছে।
দিতে হবে না আপনাকে বউয়ের অধিকার।
যান নিচে গিয়ে ঘুমান।একদম খাটে ঘুমাতে পারবেন না।
বলেই আমার বালিশ পা ফ্লোরে ছুড়ে মারলো।আমি ও
বাধ্য ছেলের মতো ফ্লোরেই শুয়ে পড়লাম।আর মনে মনে
ভাবতে লাগলাম,কেমন গুন্ডি মেয়ে রে বাবা।জীবনেও
এমন মেয়ে দেখিনী।
মনে তো হচ্ছে জীবন পুরাই তেজপাতা করে ছাড়বে।
.
ফ্লোরে ঘুমই আসছেনা।কখনই ফ্লোরে ঘুমাই নি।কিন্তু
আজকে নিজের অমতে বিয়ে করার কারনেই ফ্লোরে
ঘুমাতে হচ্ছে।
এর মধ্যে মশার আন্দোলন। ইসসসসসস,,,,,,সহ্য হচ্ছেনা।চোখ
বন্ধ শুয়ে করে আছি।কখন জানি ঘুমটা লেগে গেছে
বুঝতেই পারিনি।হঠাৎই সজাগ হয়ে দেখি আমার শরীরে
কম্বল আর পাশে ও মশার কয়েল লাগানো।মনটাতে একটু
স্বস্তি পেলাম,চোর হলেও মানুষ ভালো।
মনে মায়া-দয়া আছে।
.
পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি টেবিলে চা রাখা।চা
খেয়ে,ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে ফোন টিপছিলাম তখন ই
তানিয়া (আমার বৌ)এসে বললো.....
----এইযে সেই কতক্ষন যাবত খাবার নিয়ে সবাই অপেক্ষা করছে 
আর আপনি ঘরে বসে আছেন কেন?এখনি নিচে চলুন আগে......??বলেই আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে
বললো...
-----নাকি খাবার টা রুমে নিয়ে আসবো?
আমি তো হার্ট এ্যাটাক হতে হতে বেচেঁ গেছি।আমি তো
ভাবছিলাম,বউ বুঝি এইবার ও কলার ধরেই আমাকে খাবার
টেবিলে নিবে।কিন্তু না,বউয়ের স্বর পাল্টে গেছে,তবে
কি বউ আমার প্রেমে পড়ে গেল নাকি??কথাটা ভাবতে
ভাবতেই বউয়ের দিকে তাকালাম।হা হয়ে তাকিঁয়ে
আছি,বউ তো আমার হেব্বি সুন্দরী।রাতে তো ভাবছিলাম
হিটলারনি।এখন দেখি না মায়াময়ী।এইবার যে আমি
বউয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম।নিজেই নিজেকে বললাম...
----পিন্টু মনে হয় তুই তোর হিটলারনি বউয়ের প্রেমে পড়ে
গেছিস।
.
হঠাৎ একটা বিকট শব্দে বাস্তবে ফিরলাম।
সামনে তাকিঁয়ে বউ আমার ফ্লোরে পরে চোখ বন্ধ করে
আছে।বুঝতে পারলাম,পাগলীটা খুবই ব্যথা পাইছে।
দৌড়ে গিয়ে টেনে তুলে বসাতে গেলাম আর অমনি
আস্তে করে বলল.....
----কেমন স্বামী গো আপনি??
আমি তো একটু ভ্যাবাচ্যকা খেয়ে গেলাম।
বললাম...
----আমি আবার কি করলাম।
বৌ বলল....
----আমি মাটিতে পরে আছি কই কোলে করে নিয়ে
বিছানায় শোয়াবেন,তা না করে আমার হাত ধরে
টানছেন।
সাথে সাথেই আমি কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে
দিলাম।
আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল....
----ইচ্ছে করে এইভাবে ই ধরে রাখি সারাটা জীবন।কিন্তু
আপনি তো আমাকে পছন্দই করেন না।
কথা শেষ করেই তানিয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো।
আমারও বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে গেল।আমারো খুব বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল *
কপালে একটা চুমো একেঁ দিয়ে বলি ...
----পাগলী আমি যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি
গো।
কিন্তু পারলাম না।কোথায় জানি একটা বাধাঁ
পাচ্ছিলাম।এই সুযোগে তানিয়া আমাকে ঠেলে
বিছানায় ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালালো।আমি শুধু ওর
চলে যাওয়ার পানে তাকিঁয়ে রইলাম।পরক্ষনেই খেয়াল
হলো,ও তো ব্যথা পাইছে।যার কারনে কোলে করে
উঠাতে হলো।বুঝতে আর বাকি রইলো না,এইবার ও
আমাকে বোকা বানানো হয়েছে।
.
পাগলিটার সাথে খুনসুটি প্রেম করতে করতেই কেটে গেল
২টা বছর।এখন কেউ কাউকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারিনা।
আমার পাগলীটা এখন গর্ভবতী।
তাই খুব যত্ন নেই তার।আজকেই বাচ্চা হবার তারিখ
দিয়েছে ডাক্তার।
আমি অফিসে ছিলাম,হঠাৎই বাবার ফোন পেয়ে ছুটে
গেলাম হসপিটাল।গিয়েই শুনলাম আমার ঘর আলো করে
এসেছে এক ছোট্ট রাজকন্যা।
কিন্তু....
আমার পাগলিটার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছিনা কেন??ভয়ে
আৎকে উঠলাম।অনেকের মুখেই শুনেছি,বাচ্চা জন্ম দিতে
গিয়ে মারা গেছে অনেক মা।সে ভয়েই বাচ্চা নিতে
চাইনি।কিন্তু ওর নাকি বাচ্চা লাগবেই।
ওর ইচ্ছে পূরন করতে গিয়েই কি তবে......???
আর ভাবতেই পারছিনা।
আর একটা মিনিট ও নষ্ট না করে,দৌড়ে গেলাম কেবিনে।
গিয়ে দেখি বাচ্চা টা হাত পা নাড়িয়ে খেলছে।
কিন্তু তানিয়া চোখ বন্ধ করে রাখছে।
ওর নিঃশ্বাস আছে কি নাই তা দেখার মতো ধৈর্য আমার
ছিলোনা।তাই তানিয়াকে জড়িয়ে চিৎকার দিয়ে
ফেললাম।
সাথে সাথেই কানের কাছে একটু ব্যথা অনুভব করলাম।
পরে দেখি তানিয়া আমার আস্তে করে কানে কামড়
দিয়ে বলল....
-----কি ভাবছিলা তোমাকে একা রেখে চলে যাবো??
আরে না গো,আমি চলে গেলে,তোমাকে জ্বালাবে
কে??
আমিও বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলাম।আর
বললাম,বড্ড ভালোবাসি রে পাগলি তোকে।ছাড়বোনা
কখনই। 💗💗💗💗
কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না
 

খারাপ মেয়ে 

মেয়েরা খারাপ,তাই তারা বফ, বেস্টফ্রেন্ড চিনা পরিচিত
ছাড়া কারো সাথে তেমন সহজে মিশে যেতে পারেনা!
.
-মেয়েরা খারাপ, কারণ তারা সিন করে ফেলে রাখে!
.
-মেয়েরা খারাপ, কারণ তারা বিয়ের পর জামাইয়ের লাথি
গুতো খেয়েও!!ভাত নাড়া ছেড়ে দেয় না!
.
-মেয়েরা খারাপ,তাই তারা সাড়ে বারো ঘন্টা রোজা রেখে!
ইফতারের শেষ দু'ঘন্টা আগেও চুলার কল কাঠি নাড়তেই থাকে!
.
-মেয়েরা খারাপ, তাই তারা ছোট বাচ্ছা দেখলেই নিজেকে
মায়ের আসনে বসিয়ে দেয়!আমাদের কিছু পুরুষজাতির মতো এরা
কখনোই ধর্ষক হয় না!হয় রক্ষক!
.
-মেয়েরা খারাপ,তাই সারাদিন আকাম কুকাম করে আসার পর
হাসিমুখে সব মা ই বলে আমার ছেলে সোনার টুকরা মতো
ছেলে!একজন মাদকাসক্ত ছেলের মা ও এর ব্যতিক্রম বলে না!
.
-মেয়েরা খারাপ,তাই এরা চাইলেও সবার সামনে উচ্চস্বরে
কাঁদতে বা হাসতে পারে না!এরা পুরুষসমাজের কাছে ধোকা
খেয়ে বোবাকান্না জুড়ে দেয় দিনের পর দিন!সেই কান্না কি
কারো চোখে পড়ে?
.
-মেয়েরা খারাপ,তাই বাসে,টেম্পুতে ভিড়ের মধ্যে
হ্যারেশমেন্ট হওয়া সত্ত্বেও সব কিছু নীরবে সয়ে যায়!খুব কম
মেয়েরাই এর প্রতিবাদ করতে পারে!
.
আমরাই বলি মেয়েরা মায়ের জাত!আবার আমরাই বলি
মেয়েরাই মা*র জাত!পৃথিবীতে এমন কোনো মেয়ে নাই,যে
স্বেচ্ছায় খারাপ হয়ছে!পরিস্থিতি মানুষকে খারাপ বানায়!
.
মেয়েদের কি নিয়ে কিছু বলার আগে অন্তত একবার ভাবা উচিত
আমার ও একদিন মেয়ে হবে!তখন কি সে  

ভালবাসার টিপস

এই যে আপু , হুম,
আপনাকেই বলছি!!
আচ্ছা আপনি তোএকটা ছেলেকে ভালোবাসেন.!
আপনারা ঘুরাঘুরি করেন,ডেটিং করে বিভিন্ন রেস্তুরায়
লাঞ্চ করেন,শপিং করেন... সবগুলো
খরচ আপনার বয়ফ্রেন্ড বহন করে...!
আপনি যেমন
স্টুডেন্ট,আপনার বয়ফ্রেন্ডও তো স্টুডেন্ট... তাই নয় কি ?? সে
এই টাকা গুলো কোথায় থেকে এনে খরচ করছে, একবারও তাকে
জিজ্ঞেস করেছেন ??
নাকি শুধু
পেয়ে নেচে নেচে খুশী হয়েই যাচ্ছেন ??? ____যখন সব কিছুর
খরচ আপনার বয়ফ্রেন্ড নিজের পকেট থেকে দেয়, আপনার
বিবেক
কি একবারও প্রশ্ন
করে না যে ও
টাকা পায় কোথায় ??
এই
যে আপু...হ্যাঁ আপনাকে...!!! আপনাকে খুশী করতে সে তার
পরিবারকে কষ্টে ফেলছে...!
তার
নিজের ছোট ছোট
ইচ্ছাকে আপনার খুশীর জন্য বিলীন
করে দিচ্ছে...!
হয়তো ছেলেটা একটা সুন্দর টি-শার্ট কিনতো...!
কিন্তু
আপনার
সাথে কিছু সুন্দর মূহুর্ত কাটাবে বলে সে টাকাটা জমিয়ে
রাখে..!
________কেন করতে পারছে এমন জানেন... কারন... আপনার
কাছে তার কোন কেয়ার
নেই...!!
যদি কেয়ার
থাকতো তাহলে তাকে জিজ্ঞেস করতেন, এই তুমি যে আমায়
গিফট
দিবে তুমি টাকা পাবে কোথায় ??
নিজেইতো আমার
মতো বেকার... তখন
যদি সে বলতো,
আমি টাকা জমিয়েছি তোমার জন্য...!!
আপনি যদি সত্যিই
তাকে ভালোবাসতেন.!!
তাহলে তখন কি করতেন
জানেন ???
শপিং এ যেতেন ঠিকই,
উল্টো নিজের
টাকা দিয়ে তাকে ছোট্ট
একটা গিফট কিনে দিতেন,
আর
বলতেন তোমার
জমানো টাকা দিয়ে...
তোমার
অব্বু,আম্মুর জন্য গিফট কিনে ঈদে দিও তারা অনেক খুশী
হবে...!
আপনি নিজে কল্পনাও
করতে পারবেন না,
সে কতটা খুশী হবে... কারন
কি জানেন ???
কারন
একটা ছেলে চায় তার গার্লফ্রেন্ড/ বউ তার
থেকে তার
পরিবারকে বেশী ভালোবাসুক...!! এতে তার মধ্যে অনেক
বেশী ভালোলাগা কাজ
করে...!!
______আচ্ছা কখনো কি বলেছে যে, এই আজ রেস্তুরায় খাবো
না... এখানে অনেক টাকা খরচ
হবে...!!
তারচেয়ে বরং চলো রাস্তার পাশের মামার
দোকানে ফুচকা খাই...!!
বলেছেন কখনো ??
___কখনো কি ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে রিক্সা থেকে নেমে
বলেছেন... এই তুমি রাখো...
ভাড়াটা আমি দিচ্ছি... বলেছেন
কখনো ???
________এইগুলো কিছুই করলেন
না, আবার মুখ
ভেটকাইয়া বলেন
আই লাভ ইউ জান... এমন জান এর গুষ্টি কিলাই...!!!
________ভালোবাসবেন
ভালোবাসার মতো করে...!!
যে ভালোবাসায় মান,অভিমান,শেয়া রিং,কেয়ারিং সব
থাকবে...!শুধু থাকবে না কোন স্বার্থ... _____ভালোবাসার
মানুষটাকে বুঝতে শিখুন, তার সাথে যেভাবে নিজের
সুখ,দুঃখ
শেয়ার করেতেছেন...!! ঠিক সব কিছুতে শেয়ার করুন...
ডেটিং এ
যাবেন... কিছু খরচ আপনিও করেন...! এতে তার উপর
কিছুটা চাপ
কমবে...!! এটা খরচের
কথা বলছি না...!!
এতে করে দু’জনের
মাঝে আন্তরিকতা বাড়বে, ভালোবাসায়
গভীরতা আসবে...
আপনি সব কিছুতে ৫০/৫০ শেয়ার
করতে না পারেন, ৭০/৩০
করে শেয়ার করুন...!!
এটাইতো ভালোবাসা...!! _____ভালোবাসার সব
রংগুলো আমাদের ছুয়ে দিক, নিঃস্বার্থভাবে, আর সবাই
এর
সবটুকু আবেগ অনুভব করুক গভীরভাবে এই কামনাই
করি...!
 

ভালবাসা কি 

কেউ কারো যোগ্য নয় যোগ্য করে নিতে হয়
কখনো কাউকে অযোগ্য
বলে অবহেলা করো না
-
ভেবে দেখো তুমিও কারো না
কারো কাছে অযোগ্য মনে রেখো,
কেউ কারো যোগ্য নয় যোগ্য
করে নিতে হয়

 

 

 


0 Response to "Valobasar Golpo by Payel Banerjee Chowdhury"

Post a Comment

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel