The girl next door Bengali Love Short Story

The girl next door Bengali Love Short Story

 পাশের বাড়ির মেয়ে

সকালে বুকের উপর ভারী কোন কিছুরচাপে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি কেউ একজন আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি এটাবাস্তব? কে হতে পারে? ভূত নয় তো আবার!!! না না ভূত না পেত্নী হবে, ভূত তো ছেলে হয়। কিন্তু যে আমার বুকেরউপর শুয়ে আছে সেটা তো একটামেয়ে। মেয়ে বুঝতে পারছি এই কারণে যেতার লম্বা চুলে তার মুখটা ডাকা।

তারপর আমি ভালো করে চেয়ে দেখিরুপন্তী আমার বুকের উপর শুয়ে আছে। কিন্তু ও এখানে? ওর তো এখানে থাকার কথা না। ও ত তার বাপের বাড়িতে থাকার কথা। এখানে কিভাবে আসলো? আসছে যখন ভালোই হয়েছে। কি সুন্দর করে আমার বুকের উপর মাথা রেখেঘুমুচ্ছে, আমি একটুও নড়তে পারছিনা,নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছেআমার। তবুও আমি নড়লাম না, ঘুমুচ্ছে ঘুমাক। অনেকদিন হলো আমার বুকে মাথারেখে ঘুমায় নি মেয়েটি। কিন্তু নাহ,আর পারছিলাম না, শেষমেশকেশে উঠলাম, সাথে সাথে রুপন্তীজেগে উঠলো। আমি শুয়ে থাকা অবস্থাতেই রুপন্তীরদিকে চেয়ে দেখি ওর চোখ দু'টোবেশ ফোলা আর লাল হয়ে আছে।আমি শুয়া থেকে যেইনা উঠতেযাবো ঠিক তখনি রুপন্তী বলে উঠলো, খবরদার উঠবে না বলে দিলাম। উঠলে খবর আছে। আমি আর উঠলাম না।  আমি ওর দিকেচেয়ে দেখি ও কাঁদছে। আমি বললাম,---কি হলো কাঁদছো কেন? কিছু বলছে না, শুধু আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি আবারো বললাম,,---কি হলো কাঁদছো কেন? এবার রুপন্তী আমাকে আগের চেয়েআরো জোরে আর শক্ত করে জড়িয়েধরলো। আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না তবেরুপন্তী যে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো সেটা ঠিকই বুঝতেপারছিলাম। তাই আমি আর কিছু না বলে রুপন্তীকেজড়িয়ে ধরলাম। যতক্ষণ না কান্না থামলো ততোক্ষণজড়িয়ে ধরে রাখলাম। কান্না থামলে ওকে বললাম,,---কি হয়েছে কান্না করছো কেন? এখনো কোন কথা বলছে না ও। তাই আমি আবারো বললাম, কি হয়েছে বলবে তো?

আর এইভাবে কান্নাকরছো কেন? এবার রুপন্তী কথা বললো,---আমাকে কষ্ট দিতে তোমার খুবভালো লাগে তাইনা? কি!!!আমি তোমাকে আবার কখন কষ্টদিলাম?---তোমার এতো জ্বর আমাকে বললেকি হতো? (রুপন্তী)আমি এইবার সব বুঝতে পারলাম। ও কেন এখানে এসেছে।---কি হলো বলছো না কেন আমাকেকষ্ট দিতে তোমার খুব ভালো লাগেবুঝি?(রুপন্তী)-- -জ্বর হয়েছে আমার আর তুমি কষ্টপাবে কেন?  (আমি)

আমি কষ্ট পাবো না তো আর কেপাবে শুনি? পাশের বাসার ঐমেয়েটা পাবে?(রুপন্তী) আমি ওর কথা শুনে না হেসে পারলামনা, এখনো ও ঐ মেয়েটাকে নিয়েইপড়ে আছে। মেয়েরা পারেও বটে!!!আল্লাহ যে এদের মন কি দিয়ে তৈরীকরছে উনিই সেটা ভালো বলতেপারবেন। এর জন্যই তো আমি বলি, "মেয়েদের মনআর গিরগিটির রং দু'টোই সমান তলেচলে"!!! আর আমার এক বন্ধু বলেছিলো যে" মেয়েদের মনে যদি একবার সন্দেহডুকে যায় তবে সেটা আর কোনদিন দূরহবে না, ভিমবার কিংবাসার্ফ এক্সেল মারলেও না" তখন আমি রুপন্তী কে রাগানোর জন্য বললাম,
 তুমি কই কষ্ট পাচ্ছো,কষ্ট তো পাচ্ছিআমি, তোমার মতো একটা আটারবস্তাকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছি। কিন্তু একি!!! রুপন্তী না রেগেআরো নরম গলায় বললো, এখন তো আটার বস্তা আছিকয়েকদিন পরে যখন ধানের বস্তা হবোতখন কি করবে শুনি!!! আমি ওর এমন উত্তরে অবাক না হয়ে পারলাম না, কেননা এর আগে যখন প্রত্যেকবার'ইওকে আটার বস্তা বলে ডেকেছি ওপ্রত্যেকবার'ই আমাকে ছেড়ে দিয়েগাল ফুলিয়ে বসে থাকতো। আজ কি হলো ওর!!---আটার বস্তা থেকে ধানের বস্তামানে??(আমি)---তুমি বুঝবে না..যখন হবো তখন দেখতেই পারবে.. আটার বস্তা থেকে ধানের বস্তাকিভাবে সম্ভব!!!..(রুপন্তী)আমি এই কথা যখন ভাবছি তখন রুপন্তী বলেউঠলো,,---আমাকে কথা দাও আর কোনদিন আমাকে কষ্ট দিবে না? জানি ওর সাথে তাল না মেলালেআমাকে ছাড়বে না তাই বললাম,---আচ্ছা ঠিক আছে আর কষ্ট দিবো না।

এইবার রুপন্তী আমাকে ছেড়ে দিলো। আসলেই খুব কান্না করেছে ও। কেঁদে কেঁদে চোখ লাল করেছেতো করেছেই সাথে গাল টাও লালকরে ফেলেছে। একটু আদর করা দরকার ওকে। যেইনা আমি ওর গাল দু'টো কে ধরতেযাবো তখনি ও বলে উঠলো,---এএএ আসছে আদর করতে,,যখন Ador করার Somy তখন করে না এখন অসুস্থ শরীরনিয়ে আদর করতে আসে।..(রুপন্তী)---আমি এখন সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছি।(আমি)---কত যে ভালো হয়েছো সেটাআমার ভালো করেই জানা আছে।----(রুপন্তী)---বিশ্বাস হচ্ছে না? আমার কাছেএসে দেখো আমি ভালো হয়েছি কিনা?(আমি)---হু,,(মুখ বাঁকিয়ে)..আমি তোমার জন্যখাবার নিয়ে আসছি এই কথা বলে যখনরুপন্তী চলে যেতে লাগলো আমিতখনি ওর হাত টা ধরে এক টানেআমার মুখের কাছে ওর মুখ টা এনেবললাম,"পৃথিবীর সব স্বামীর অসুখ অর্ধেক এমনিতেই ভালো হয়ে যায় যদি তারবউ তার পাশে থাকে "কথাটি বলার পর চেয়ে দেখি রুপন্তীচোখ বন্ধ করে রেখেছে, চোখেরপাতা দু'টো একটু করে নড়ছে আর ঠোঁটদু'টো কাঁপছে। আমি ওর কপালে আলতো করে আমারঠোঁট লাগালাম। ঠোঁট টা লাগাতেই ও আমাকেপূর্বের দুই বারের চেয়ে আরো কঠিনভাবে জড়িয়ে ধরলো। "শিশুরা কোন কিছু দেখে ভয় পেলেযেমন করে কাউকে জড়িয়ে ধরে ঠিকতেমন করেই রুপন্তী আমাকে জড়িয়েধরে আছে। আমি ওর এমন ভাবে জড়িয়ে ধরতেদেখে বেশ অবাকই  হলাম। আমি কিছুক্ষণ পর ওকে ছাড়াতেচাইলে ও আমাকে ছাড়তে চাইছিলো না। তাই আমিও আর ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা না করে ওকে বললাম,---ভয় পেয়েছো? কথা বলছে না ও।

আমি আবারো বললাম, আরে আমার কিছুই হয়নি, এই সামান্য জ্বরে কেউ মরে না।
 আমার মুখে মরার কথা শুনে রুপন্তী আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেশ রাগীগলায় বললো,,--- আর একবার যদি মরার কথা মুখে এনেছো তবে আমিই তোমাকে এখনিআর এইখানেই গলা টিপে মেরেফেলবো।---আরে যার মরণ যেদিন আছে সেদিনতো সে মরবেই তাইনা?(আমি) ---আবার!!!(রুপন্তী)  বুঝলাম রুপন্তী বেশ রেগে গেছে, তাই ওকে আর না রাগিয়ে বললাম,-- -আমার না খুব ক্ষুদা পেয়েছে। রুপন্তী আমার দিকে রাগী একটালুক দিয়ে বললো,---আচ্ছা তুমি বসে থাকো আমিখাবার নিয়ে আসছি। আমি বললাম,---জ্বী হুকুম মহারাণী কটকটি...স্যরি। স্যরি (মুখটা চেঁপে ধরে) আসলেই তুমি একটা পাগল...এই বলে রুপন্তী আমার দিকে তার সেই মিস্টিহাসিটা হেসে খাবার আনতে চলেগেলো। রুপন্তী তো খাবার আনতে গেলোআর আমি এখন বিছানায় একা একাবসে আছি।কি করবো ভাবছি,,,ও হ্যা আপনাদেরতো আমার বায়োডাটা মানেপরিচয়টাই তো দেওয়া হয়নি,,,রুপন্তী।খাবার টা নিয়ে আসুক আর আমিততক্ষণে আমার পরিচয় টা দিয়েফেলি।আপনারা যারা আমার গল্প পড়েনতারা হয়তো ভালো করেই জানেনআমি কে তারপরেও আবারো বলছি,আমি হৃদয়।লেখাপড়া শেষ করে এই একটা জব করি।অবশ্য বাবার সাথে তার ব্যবসা করতেবলেছিলো কিন্তু আমার ব্যবসা করতেভালো লাগে না তাই এই জব করা।যাইহোক পরিচয় পর্ব শেষ এখন আসি মূলকথায়মূল কথা বলতে রুপন্তী নিয়ে...-----রুপন্তী হলো আমার বাবার বন্ধুরমেয়ে।একদিন বাবা আমাকে বলে যে তারসাথে এক জায়গায় যেতে হবে কিন্তুসেই জায়গা টা যে রুপন্তীদের বাসাহবে আমি জানতাম না।যখন গিয়েছি তখন তো পাত্রী দেখতেই হবে।পাত্রীকে আনা হলো,আর আমারযানি কেমন কেমন লাগতে লাগলো।আমার সামনে পাত্রী ইয়া লম্বাএকটা ঘোমটা টেনে বসে আছে,ওর এই লম্বা ঘোমটা দেখে আমারই যেন দমবন্ধ হয়ে আসছে।অনেকক্ষণ পর "পাত্রীর ঘোমটা টাখুলা হলো সাথে যেন আমার চেঁপেধরা গলাটাও ছেঁড়ে দেওয়া হলো।Ami পাত্রীর দিকে একবার তাকিয়ে যেন আর চোখ নামাতে পারছিলাম না।----দেখতে আহামরি সুন্দরী না,তবুও কেন জানি আমি চোখ ফেরাতেপারছিলাম না।পরে বুঝতে পেরেছিলাম কেন আমিচোখ ফেরাতে পারছিলাম না।পাত্রী মানে রুপন্তীর মুখে একবিশেষ ধরণের মায়া ছিলো,যা সবমেয়েদের মুখে থাকে না,আর সেই মায়াটা'ই আমাকে তার দিকহতে চোখ ফেরাতে দেয়নি।কিছুক্ষণ পর আমাকে আর রুপন্তীকে একসাথেকিছুক্ষণ কথা বলার জন্য রুপন্তীর রুমেপাঠানো হলো।রুপন্তীর রুমে আসার পর সর্বপ্রথম যেই কথাটি বলল,তা হলো,আমাকে কেন বিয়ে করছেন?Apni আমার চেয়েও অনেক ভালো মেয়ে পাবেন আশা করি।আমি ওর এমন কথা শুনে অবাক না হয়েপারছিলাম না কেননা এর আগে কোনমেয়ে এমন কথা বলেছে কি নাসন্দেহ..তখন আমি বললাম,এটা ঠিক আমি আপনার চেয়েআরো অনেক ভালো মেয়ে পাবোকিন্তু.... একটুকুই বলে থেমেগিয়েছিলাম।---কিন্তু কি??..(রুপন্তী)জবাবে আমি বলেছিলাম,---আপনার মুখে আলাদা এক ধরণেরমায়া আছে আমি দেখেছি যা সবমেয়ের মাঝে থাকে না,আর সেই মায়ার আমি প্রেমে পড়েগেছি, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিবিয়ে আপনাকেই করবো এখন আপনিযদি রাজী থাকেন তবে,,Amar এমন উত্তর শুনার পর রুপন্তী আমার দিকে কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে ছিলো।----তারপর আস্তে করে বললো,যদি তাকে তুমি করে ডাকি তবেইসে রাজী,বলেই সেই ভুবন ভুলানোহাসি দিয়ে রুপন্তী রুম থেকেবেরিয়ে গেলো।হাসিটার সাথে আমার প্রাণটাওযেন নিয়ে চলে গেলো।রুপন্তীর রুমে আমি একা ঠাঁই হয়েদাঁড়িয়ে রইলাম, কি বলে গেলো একটুবুঝার চেষ্টা করছিলাম আমি। যখনবুঝতে পারলাম তখন আমার...(সব বলাযাবে না)।---রুপন্তীর হাসি টা এতোই মধুরছিলো যে চোখ বন্ধ করলে এখনো সেইহাসিটা আমি দেখতে পাই।তারপর পারিবারিক ভাবেইআমাদের বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়েগেলো।বাসর রাতে রুপন্তী আমার কাছেএকটাই দাবী করেছিলো, আমি যেনতাকে কখনো ছেড়ে না যাই।আমিও ওকে কথা দিয়েছিলাম,,আমিতোমাকে কখনো ছেড়ে যাবোনা।----এসব ত আগের কাহিনী।এখন বর্তমানে আসি।যে কারণে রুপন্তি বাপের বাড়িতে চলে গেলো....#তিনদিন_আগের_কাহিনীআমাদের পাশের বাসার একটা মেয়ে আছে।সে দেখতে খুবই সুন্দর।ত যখন Amader কোনো জায়গায় দেখা হয় তখন সে নিজের আগ বারিয়ে কথা বলে।একদিন রুপন্তি আমাদের কথা বলতে দেখে ফেলে।Tarpor আমায় ঐ মেয়েটার সাথে কথা বলতে নিষেধ করে।পরে আরেকদিন ঐ মেয়েটা নিজেই আমার সাথে কথা বলল,কি করবো বলেন,Jodi কেউ কিছু জিজ্ঞাস করে তাহলে ত তার উত্তর দিতে হয়।কিন্তু সেই উত্তর দেওয়ার সময় রুপন্তি আমাদের দেখে ফেলে।সেই জন্য আমাকে অনেক কথা বলে সুজা বাপের বাড়ি চলে যায়।রুপন্তীর ডাকে বাস্তবে ফিরলাম।চেয়ে দেখি খাবার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েআছে।তারপর খেতে বসলাম,রুপন্তী আমার পাশে বসে ভাতেরসাথে তরকারী মাখাচ্ছে, আমিপ্লেট নিতে চাইলে বলে আজ ওআমাকে খাইয়ে দিবে।-----কিন্তু ভাত শুধু মাখিয়েই যাচ্ছেমাথা নিচু করে।আমি হাত দিয়ে ওর মুখটা তুলে দেখিওর চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পড়ছে।আমার খুব ভালো লাগলো ওর এইকান্না দেখে।রুপন্তী যে আমাকে এতোটাভালোবাসে কখনো বুঝতেই দেয় নি..আমি ওর মুখ টা আমার দিকে তুলেবললাম,,---আমি আমার এই পাগলী বউ টাকেআমার জীবনের চাইতেও অনেক বেশিভালোবাসি। তুমিই তো আমার সব কিছু,কাঁদেনা বাবু.....----তুমি আমাকে একটুও ভালোবাসোনা,,যদি ভালোই বাসতে তাহলেআমাকে একবার হলেও ফোন করেবলতে পারতে তোমার অসুখ...(অভিমানী কন্ঠে..রুপন্তী)---তুমিই তো বলেছিলে যেনতোমাকে ফোন না করি।(আমি)---আমি বললাম আর তুমি তাই করবে?আজ যদি "মা" আমাকে না বলতোতাহলে কি হতো শুনি??(রাগী গলায়..রুপন্তী)---কি আর হতো..আমি ম....আর কোন শব্দকরতে পারলাম না কারণ রুপন্তী আমারমুখে খাবার দিয়েছে।রুপন্তী আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আরবলছে,---জ্বর কিভাবে বাঁধাইলে?---বৃষ্টিতে ভিজে।(আমি)---আর কোনদিন ভিজবে?(রুপন্তী)---না..মাথা নাড়িয়ে।(আমি)---কেন? ভিজবে না কেন?(রুপন্তী)---জ্বর আসবে যে।(আমি)---ভিজবে কিন্তু আমার সাথে। (রুপন্তী)---জ্বর আসলে?(আমি)---আমি আছি কি করতে শুনি?(রুপন্তী)---আচ্ছা,,ঠিক আছে ভিজবো।(আমি)---আর কোনদিন ঐ পাশের বাড়িরমেয়েটার সাথে কথা বলবে?(রুপন্তী)---হ্যা...(আমি)---কি!!!!!! (রুপন্তী)----রাগী চোখে আমার দিকেতাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে আমাকেএক্ষুণি ভাতের সাথে মাখিয়েখাবে।---না,না,না,আর কোনদিন বলবো না..ভুল করে ভুল জায়গায় বলে ফেলেছি।(আমি)---যদি দেখি আর কোনদিন কথা বলতেসেদিন দেখবে আমি কি করি...(রাগী গলায়..রুপন্তী)---আর হবে না..(আমি)---মনে থাকে যেন। (রুপন্তী)---১০০ বার মনে থাকবে। (আমি)রুপন্তী বিড়বিড় করে কি যেন বলতেলাগলো শুনতে পারলাম না।কিন্তু আমার মন বলছে ও ঐমেয়েটাকেই নিশ্চয় গালিদিচ্ছে,বলছে "তোর জন্যই আজকের এইঅবস্থা,আমি যদি সেদিন চলে নাযেতাম তাহলে আজ কে আর আমারস্বামীর অসুখ হয় না।----পাজি,বদ,বেহায়া,নিলজ্জ মেয়েকোথাকার,ছেলে দেখলেই কথাবলতে ইচ্ছে করে,আর একদিন যদিদেখি আমার স্বামীর সাথে কথাবলতে তবে তোর একদিন কি আমারএকদিন।।"---কি হলো কি বলছো মনে মনে?(আমি)---তোমার শুনে কাজ নেই..এই নেও হা করো?(রুপন্তী)অতঃপর আমিও রুপন্তীর কথা মতো হাকরলাম..মনে মনে বলি যাক "পাশের বাড়িরমেয়েটা না থাকলে আমার কি যেহতো"কি বুঝলেন নানা তো!!বুঝিয়ে দিচ্ছি...---- ধরুন জ্বর টা যদি না হতো তবেরুপন্তী'র এই মিষ্টি ভালোবাসাপেতাম না।আর ঐ পাশের বাড়ির মেয়েটা যদিনা থাকতো তাহলে আমার ওর সাথেকথা বলা হতো না।আর কথা না বললে রুপন্তী ওর বাবারবাসায় যেত না,আর রুপন্তী না গেলে আমার আরবৃষ্টিতে ভিজা হতো না,আর বৃষ্টিতে না ভিজলে আমার জ্বরআসতো না,আর জ্বর না আসলে রুপন্তীর এই মিষ্টিভালোবাসা পেতাম না।তাহলে সব শেষে ফলাফল কিদাঁড়ালো!!!এই সব কিছুর জন্য ঐ পাশের বাড়িরমেয়েটার ক্রেডিট।তাহলে ওর তো আমার কাছ থেকেএকটা ধন্যবাদ পাওনা রয়ে গেলো...আগামীকালই তাকে তার প্রাপ্যজিনিস টা বুঝিয়ে দিবো।এই কথা ভেবে যখনই রুপন্তীর দিকেতাকিয়েছি..দেখি রুপন্তী আমার দিকে অগ্নিময়চোখে তাকিয়ে আছে...কারণ আমার মনের অজান্তে বিড়বিড় করে বলে ফেলেছি।!!!আমি ওর এমন তাকানো দেখে একটাঢোক গিলে মনে মনে বললাম....ধন্যবাদ তো দূরের কথা আমি তো ঐপাশের বাড়ির মেয়ের আরআশেপাশেই কোনদিন যাবো না।
(#সমাপ্ত

0 Response to "The girl next door Bengali Love Short Story"

Post a Comment

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel